সিলেটের জৈন্তাপুরের হাওর নদী যেন লাল পদ্মের রাজ্যে সাদৃশ্য রাখে।ছবি:সংগৃহীত |
বিলীন হাওরের ঝিলমিল জলে ভেসে থাকা হাজারো লাল জলরাশির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এটি এমন একটি দৃশ্য যা একজনকে স্বর্গীয় আবাসে নিয়ে যেতে পারে। প্রকৃতি এখানে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে তা সত্যিই অসাধারণ
সিলেট অঞ্চলের জৈত্য (পূর্বে জৈন্তাপুর নামে পরিচিত) ইতিহাস রহস্য ও চক্রান্তে আবৃত। এমনকি পরাক্রমশালী মুঘল ও ব্রিটিশরাও তা জয় করতে পারেনি। আজও সিলেট অঞ্চলে এই রাজ্য নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে, যা এর কিংবদন্তি মর্যাদার প্রমাণ।
লাল শাপলা: রঙিন সুতার বিল |
জৈন্তাপুরের শাসক রাজা বিজয় সিংহের সমাধি এই হাওরের লাল পানির লিলির বিলে অবস্থিত। নৌকা থেকে ছুড়ে ফেলে এই হ্রদে ডুবে মারা যান তিনি। তার স্মৃতিতে নির্মিত 200 বছরের পুরনো একটি মন্দির এখনো হাওরে দাঁড়িয়ে আছে।
মুক্তিযুদ্ধের চতুর্থ সাব-সেক্টর, মেঘালয়ের মুক্তাপুর, সিলেটের জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলের ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যের কথা শুধু সুন্দরই নয়।
লাল শাপলা বিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। দিবি বিল, ইয়াম বিল, হারফকাট বিল এবং কেন্দ্রী বিলের সাথে, লাল শাপলা 900 একর জুড়ে একটি 'রাজ্য' গঠন করে।
লাল শাপলার বিল শুধু সৌন্দর্যই নয়, জৈন্তাপুরের ইতিহাসের সাথেও আমাদের পরিচিত করে। সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মিলন এই চারটি বিলের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। লাল শাপলা বিলে দর্শনার্থীরা এখন ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
Post a Comment
0Comments